
সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে বিদ্রোহীদের প্রবেশের খবর আসার পরপরই সিরিয়ার দুই দশক ধরে শাসন করা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।
সিরিয়ার দুটি শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স জানায়, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ একটি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে অজ্ঞাত গন্তব্যের উদ্দেশে দামেস্ক ত্যাগ করেছেন।
রয়টার্স ও সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর)-এর প্রতিবেদনে জানা যায়, দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে একটি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ উড়তে দেখা গেছে, যা বাশার আল-আসাদকে বহন করার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পরপরই বিমানবন্দর থেকে সরকারি বাহিনী সরিয়ে নেয়া হয়, যা আসাদের শাসনের পতনের একটি বড় ইঙ্গিত।
কোনো ধরনের বাধার সম্মুখীন না হয়েই বিদ্রোহীরা দামেস্কে ঢুকে পড়েন। তারা দাবি করেছেন, সরকারি বাহিনী তাদের পথে কোনো প্রতিরোধ গড়ে না তুলে একে একে পালিয়ে গেছে। খবর রয়টার্স, সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর), বিবিসির
দামেস্কের উপকণ্ঠে অবস্থিত সেদনায়া কারাগার থেকে হাজার হাজার বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেদনায়া কারাগারটি ছিল সিরিয়ার সবচেয়ে কুখ্যাত কারাগারগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে বিরোধী রাজনৈতিক কর্মী এবং সাধারণ নাগরিকদের দীর্ঘকাল ধরে বন্দি রাখা হয়েছিল।
বন্দিদের মুক্তির পর, রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ উল্লাস করতে শুরু করে। তারা চিৎকার করে বলেন, ‘আসাদ চলে গেছে, হোমস এখন মুক্ত!’ এবং ‘সিরিয়া দীর্ঘজীবী হোক, বাশার আল-আসাদ নিপাত যাক।’
এদিকে, সিরিয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর হোমসও বিদ্রোহীরা একদিনের লড়াইয়ের পর দখল করে নেয়। হোমস ছিল সিরিয়ার শাসন ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি দামেস্কের সঙ্গে সরকারের মূল শক্তির যোগাযোগ স্থাপন করতে সহায়তা করত। হোমসের পতনের পর, সিরিয়ার সরকার কার্যত তাদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং বাশার আল-আসাদের শাসন টিকে থাকার মতো কোনো শক্তি আর অবশিষ্ট ছিল না। হোমসের পতনকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জাওলানি ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
হায়াত তাহরির আল-শাম তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে জানিয়েছেন, এই বিজয়ের মাধ্যমে সিরিয়ার জনগণের জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা হয়েছে, যেখানে স্বৈরশাসন ও নিপীড়নের অন্ধকার যুগের অবসান ঘটেছে। তাদের নেতা আল-জাওলানি বিদ্রোহী যোদ্ধাদেরকে অহেতুক রক্তপাত থেকে বিরত থাকতে এবং যারা অস্ত্রত্যাগ করেছে তাদের প্রতি কোনো ধরনের আঘাত না করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিদ্রোহী বাহিনীর বিজয়ের পর, সিরিয়ার বিভিন্ন শহরে মানুষের মধ্যে আনন্দের ঢেউ বয়ে যায় এবং সরকারি বাহিনী একে একে পিছু হটে।
হোমসের পতনের পর, সিরিয়ার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শহর থেকে সরকারি বাহিনী পালিয়ে যেতে শুরু করে এবং সড়কে হাজার হাজার মানুষ মুক্তির আনন্দে ভেসে ওঠে। বিশেষভাবে দামেস্কের আকাশে বিদ্রোহীরা গুলি ছুঁড়ে তাদের বিজয়ের আনন্দ প্রকাশ করে। তরুণ-তরুণীরা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে, আর বিভিন্ন এলাকায় সরকারি অফিসে হামলা চালায়। এই দৃশ্যগুলি ছিল সিরিয়ায় আসাদ বিরোধী আন্দোলনের একটি নতুন দিক, যেখানে জনগণ তাদের স্বাধীনতার জন্য একত্রিত হয়েছিল।
বিদ্রোহীদের দ্রুত এগিয়ে আসা এবং আসাদের সেনাদের পালিয়ে যাওয়ার পর, সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে এই প্রক্রিয়া বিদ্রোহীদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে, কারণ দেশটির ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত। যদিও বিদ্রোহী বাহিনী দাবি করেছে তারা সিরিয়ার জনগণের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে, তবে তাদের শাসন ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা এখনো পরীক্ষিত হয়নি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সিরিয়ার এই পরিস্থিতি দেশের জন্য একটি বড় রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। যদিও একনায়কতন্ত্রের অবসান ঘটেছে, বিদ্রোহী বাহিনীর অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা একটি বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে, সিরিয়ার জনগণের আশা, এই নতুন পরিবর্তন তাদের জীবনে শান্তি ও স্বাধীনতার পথ খুলে দেবে।
বিদ্রোহী বাহিনীর বিজয়ের পর, দেশজুড়ে মানুষের মধ্যে আনন্দ এবং আতঙ্কের মিশ্রিত অনুভূতি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে একথা নিশ্চিত যে, সিরিয়ার জন্য একটি নতুন রাজনৈতিক যুগ শুরু হয়েছে, যেখানে জনগণ আর কোনো একনায়কতন্ত্র বা স্বৈরশাসন মেনে নেবে না।
সিরিয়ার দুটি শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তার বরাতে রয়টার্স জানায়, প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ একটি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে অজ্ঞাত গন্তব্যের উদ্দেশে দামেস্ক ত্যাগ করেছেন।
রয়টার্স ও সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর)-এর প্রতিবেদনে জানা যায়, দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে একটি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ উড়তে দেখা গেছে, যা বাশার আল-আসাদকে বহন করার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পরপরই বিমানবন্দর থেকে সরকারি বাহিনী সরিয়ে নেয়া হয়, যা আসাদের শাসনের পতনের একটি বড় ইঙ্গিত।
কোনো ধরনের বাধার সম্মুখীন না হয়েই বিদ্রোহীরা দামেস্কে ঢুকে পড়েন। তারা দাবি করেছেন, সরকারি বাহিনী তাদের পথে কোনো প্রতিরোধ গড়ে না তুলে একে একে পালিয়ে গেছে। খবর রয়টার্স, সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটস (এসওএইচআর), বিবিসির
দামেস্কের উপকণ্ঠে অবস্থিত সেদনায়া কারাগার থেকে হাজার হাজার বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। সেদনায়া কারাগারটি ছিল সিরিয়ার সবচেয়ে কুখ্যাত কারাগারগুলোর মধ্যে একটি, যেখানে বিরোধী রাজনৈতিক কর্মী এবং সাধারণ নাগরিকদের দীর্ঘকাল ধরে বন্দি রাখা হয়েছিল।
বন্দিদের মুক্তির পর, রাস্তায় হাজার হাজার মানুষ উল্লাস করতে শুরু করে। তারা চিৎকার করে বলেন, ‘আসাদ চলে গেছে, হোমস এখন মুক্ত!’ এবং ‘সিরিয়া দীর্ঘজীবী হোক, বাশার আল-আসাদ নিপাত যাক।’
এদিকে, সিরিয়ার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর হোমসও বিদ্রোহীরা একদিনের লড়াইয়ের পর দখল করে নেয়। হোমস ছিল সিরিয়ার শাসন ব্যবস্থার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি দামেস্কের সঙ্গে সরকারের মূল শক্তির যোগাযোগ স্থাপন করতে সহায়তা করত। হোমসের পতনের পর, সিরিয়ার সরকার কার্যত তাদের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে এবং বাশার আল-আসাদের শাসন টিকে থাকার মতো কোনো শক্তি আর অবশিষ্ট ছিল না। হোমসের পতনকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শামের নেতা আবু মোহাম্মদ আল-জাওলানি ‘ঐতিহাসিক মুহূর্ত’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
হায়াত তাহরির আল-শাম তাদের টেলিগ্রাম চ্যানেলে জানিয়েছেন, এই বিজয়ের মাধ্যমে সিরিয়ার জনগণের জন্য একটি নতুন যুগের সূচনা হয়েছে, যেখানে স্বৈরশাসন ও নিপীড়নের অন্ধকার যুগের অবসান ঘটেছে। তাদের নেতা আল-জাওলানি বিদ্রোহী যোদ্ধাদেরকে অহেতুক রক্তপাত থেকে বিরত থাকতে এবং যারা অস্ত্রত্যাগ করেছে তাদের প্রতি কোনো ধরনের আঘাত না করার নির্দেশ দিয়েছেন। বিদ্রোহী বাহিনীর বিজয়ের পর, সিরিয়ার বিভিন্ন শহরে মানুষের মধ্যে আনন্দের ঢেউ বয়ে যায় এবং সরকারি বাহিনী একে একে পিছু হটে।
হোমসের পতনের পর, সিরিয়ার বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ শহর থেকে সরকারি বাহিনী পালিয়ে যেতে শুরু করে এবং সড়কে হাজার হাজার মানুষ মুক্তির আনন্দে ভেসে ওঠে। বিশেষভাবে দামেস্কের আকাশে বিদ্রোহীরা গুলি ছুঁড়ে তাদের বিজয়ের আনন্দ প্রকাশ করে। তরুণ-তরুণীরা প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে, আর বিভিন্ন এলাকায় সরকারি অফিসে হামলা চালায়। এই দৃশ্যগুলি ছিল সিরিয়ায় আসাদ বিরোধী আন্দোলনের একটি নতুন দিক, যেখানে জনগণ তাদের স্বাধীনতার জন্য একত্রিত হয়েছিল।
বিদ্রোহীদের দ্রুত এগিয়ে আসা এবং আসাদের সেনাদের পালিয়ে যাওয়ার পর, সিরিয়ার প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়ায় সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তবে এই প্রক্রিয়া বিদ্রোহীদের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে, কারণ দেশটির ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত। যদিও বিদ্রোহী বাহিনী দাবি করেছে তারা সিরিয়ার জনগণের ইচ্ছার প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকবে, তবে তাদের শাসন ব্যবস্থার স্থিতিশীলতা এখনো পরীক্ষিত হয়নি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সিরিয়ার এই পরিস্থিতি দেশের জন্য একটি বড় রাজনৈতিক পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেয়। যদিও একনায়কতন্ত্রের অবসান ঘটেছে, বিদ্রোহী বাহিনীর অভ্যন্তরীণ ঐক্য ও দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা একটি বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে, সিরিয়ার জনগণের আশা, এই নতুন পরিবর্তন তাদের জীবনে শান্তি ও স্বাধীনতার পথ খুলে দেবে।
বিদ্রোহী বাহিনীর বিজয়ের পর, দেশজুড়ে মানুষের মধ্যে আনন্দ এবং আতঙ্কের মিশ্রিত অনুভূতি ছড়িয়ে পড়েছে। তবে একথা নিশ্চিত যে, সিরিয়ার জন্য একটি নতুন রাজনৈতিক যুগ শুরু হয়েছে, যেখানে জনগণ আর কোনো একনায়কতন্ত্র বা স্বৈরশাসন মেনে নেবে না।