সৈয়দপুরে বোতলজাত সোয়াবিনের কৃত্রিম সংকট

আপলোড সময় : ৩০-০১-২০২৫ ১১:৩১:০৮ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ৩০-০১-২০২৫ ১১:৩১:০৮ অপরাহ্ন
সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি
রমজানের দেড় মাস আগেই সৈয়দপুর বাজারে বোতলজাত সোয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট দেখা দিয়েছে। জানা যায়, এস আলম গ্রুপ,সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ দেশে ভোজ্যজাত আমদানির মাধ্যমে অন্যান্য কোম্পানির কাছে বিক্রি করে থাকে। বড় এ তিনটি কোম্পানির কেনা সোয়াবিন তীর, ফ্রেস, রূপচাঁদা,পুষ্টি একাধিক কোম্পানির নামে ডিলারের মাধ্যমে খুচরা বাজারে মুদিখানার দোকানে বিক্রি হয়। সাধারণ গ্রাহকরা মুদিখানার দোকানে এসব কোম্পানির ২৫০ গ্রাম থেকে ৫শ’ গ্রাম, ১ লিটার ও ২ লিটার বোতল সোয়ারিন তেল পাচ্ছে না। প্রায় মাসখানেক থেকে কেন যেন বাজারে সোয়াবিনের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বাধ্য হয়ে বোতলজাত তেলের দামে খোলা সোয়াবিন তেল কিনতে হয়। নিত্যদিনের অন্যতম ভোজ্য তেল সংকট থাকায় সাধারণ গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হচ্ছে। মুদিখানা দোকানের খুচরা ব্যবসায়ীরদের অভিযোগ,তাীর, ফ্রেস,রূপচাঁদা,পুষ্টি এ চারটি বোতলজাত সোয়াবিন তেল সরবরাহ কমে গেছে। কোম্পানির সেলম্যান ও ডিলার যোগসাজসে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরি হচ্ছে এমন অভিযোগ ক্ষুদ্র মুদি দোকানদারের।
তাদের চাহিদা অনুযায়ী বোতল জাত সোয়াবিল তেল সরবারহ দিচ্ছে না। কোন কোম্পানি বোতলজাত সোয়াবিন তেল দিলেও তার বিপরীতে প্যাকেটজাত আটা,লবণ, আতব চাল, মশার কয়েল, সাবান, ডাল এসব পণ্য নিতে বাধ্য করছে। অন্যথায় খুচরা ওই দোকানদারকে শুধুমাত্র সোয়াবিন তেল দেয়া হচ্ছে না। অনেক ব্যবসায়ী বলেন, এক লিটার সোয়াবিন তেল বোতলজাত মোড়কে ১৭৫ টাকা এবং কেনেলা তীর ১৯০ টাকা কোম্পানির মূল্য নির্ধারণ করা। ওই তেল দোকানিদের কাছে পাইকারী দরে কেনা পড়ে ১৭৩ থেকে ১৭৪ টাকা। ফলে ব্যবসায়ীরা মোটা অংকের মূলধন খাটিয়ে লাভের পরিমাণ থাকে ১ থেকে ২ টাকা। সৈয়দপুর বাজারে মুদিখানা ব্যবসায়ী সাত্তার হোসেন বলেন, খোলা সোয়াবিন তেলের দামও ২৪ ঘন্টার ব্যবধানে উঠা নামা করে। একদিন আগেও যে তেলের পাইকারি দাম ১৬৭ টাকা লিটার পরের দিন সেই তেল কিনতে হয় ১৭২ টাকা। ফলে ১৬৭ টাকা কেনা তেল খুচরা ক্রেতাদের কাছে ১৭৫ টাকা বিক্রি করেছি। কিন্তু পাইকারি ১৭২ টাকা লিটার কেনা তেল বিক্রি এ নিয়ে হিমসীম খাচ্ছি। সৈয়দপুর উপজেলার এক ডিলার বলেন,বর্তমান বাজারে খুচরা সোয়াবিন তেল সরকারিভাবে ৮ টাকা দাম বাড়ানোর পরও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে। দেশে তেল আমদানিকারক বড় কোম্পানিগুলোর কারসাজি রমজানে খোলা সোয়াবিন ২শ’ টাকা লিটারে বিক্রির জন্য কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। যে কারণে ডিলারদের চাহিদা মত প্রতিমাসে বোতলজাত সোয়াবিন তেল সরবরাহ করা হচ্ছে না। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে সহজে ভোজ্য তেলের সমস্যা মিটবে না। সৈয়দপুর এক কোম্পানির সেল অফিসার (এসও) বলেন,এখানে প্রতিমাসে বোতলজাত সোয়াবিন তেলের চাহিদা রয়েছে ৮০ থেকে ৯০ লাখ টাকার। কিন্তু কোম্পানি ডিলারের চাহিদা মত সরবরাহ করছে না। কেন পারছে না তা আমার জানা নেই। খুচরা ব্যবসায়ীদের মতে, সরকার আসন্ন রমজান মাস আসার পূর্বেই অন্যতম ভোজ্য তেল সোয়াবিনের দাম নির্ধারণসহ বাজারে সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারলে তেল সংকট তীব্র হবে। তাই সরকারের এ বিষয়ে বাজার মনিটরিংসহ নজরদারী প্রয়োজন। সৈয়দপুর শহরে বাজার সারতে আসা ক্রেতা মোজাহার হোসেন বলেন, আমি কয়েক দোকান ঘুরে এক দোকানে তেলের বোতল পেলাম। দাম নেয়া হল ১ লিটার বোতল ১৮০ টাকা। যদিও সরকারি নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশী। প্রয়োজনে বেশি দাম দিয়ে আমাকে কিনতে হল তেলের বোতল।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net