বাংলাদেশের দ্রুততম ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ব্যাট হাতে দুই হাজার রান ও বল হাতে দুইশত উইকেট শিকারের ক্লাবে প্রবেশ করেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে এই রেকর্ড গড়ার পথে সাকিব আল হাসানকে পেছনে ফেলেছেন মিরাজ; বিশ্ব ক্রিকেটে মিরাজের উপরে আছেন চার জন। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। তাইজুল ইসলামের ফাইফারের পর ওপেনার সাদমান ইসলামের সেঞ্চুরিতে মজবুত ভিত গড়ে টাইগাররা। সপ্তম ব্যাটার হিসেবে মিরাজ যখন ক্রিজে নামেন ততক্ষণে বাংলাদেশ লিড নিয়ে ফেলেছে। লিডকে আরো বড় করে ব্যাটার হিসেবে মিরাজ আউট হওয়ার আগে হাঁকান সেঞ্চুরি ও নাম লেখান বিশ্বরেকর্ড। ২৬৭ রানে দলের পাঁচ উইকেট পড়ার পর ব্যাট করতে নামেন মিরাজ। সঙ্গী হিসেবে বেশিক্ষণ পাননি মুশফিকুর রহিম ও নাঈম হাসানকে। তারা দ্রুত বিদায় নিলেও তাইজুল সঙ্গ দেন মিরাজকে। তারপর মিরাজকে সঙ্গ দেন অভিষিক্ত পেসার তানজিম হাসান সাকিব। নবম উইকেটে তানজিম সাকিবকে নিয়ে মিরাজ গড়েন ৯৬ রানের বড় জুটি। তানজিম সাকিব আউট হয়ে যাওয়ার পর ক্রিজে নামেন হাসান মাহমুদ। শেষ ব্যাটার হাসান মাহমুদ যখন ক্রিজে, তখন যেন সবার বুক ধুকধুক করছিল যে মিরাজের সেঞ্চুরি হওয়ার আগেই বাংলাদেশ অলআউট হয়ে যায় কিনা! তবে দারুণভাবে সামাল দেন হাসান আর মিরাজও তুলে নেন সেঞ্চুরি। এই ম্যাচে ব্যাট হাতে নামার আগে মিরাজের নামের পাশে টেস্ট ক্রিকেটে সংগ্রহ ছিল ১৯৬৪ রান ও বল হাতে ঠিক ২০০ উইকেট। অর্থাৎ এই ম্যাচে ৩৬ রান করার মাধ্যমেই দুই হাজার রান ও ২০০ উইকেটের ডাবলে নাম লেখান মিরাজ। এই ক্লাবে প্রবেশ করতে মিরাজ খেলেছেন ৫৩টি ম্যাচ। বাংলাদেশের পক্ষে এর আগে রেকর্ডটি ছিল কেবল সাকিব আল হাসানের। সাকিব খেলেছিলেন ৫৪টি ম্যাচ। অর্থাৎ মাত্র এক ম্যাচের ব্যবধানে সাকিবকে পেছনে ফেললেন মিরাজ। এই তালিকায় শুরুতেই আছেন ইংল্যান্ডের ইয়ান বোথাম। ৪২টি ম্যাচে বিশ্বের দ্রুততম ক্রিকেটার হিসেবে দুই হাজার রান ও দুইশত উইকেটের ডাবলের রেকর্ড এখনো এই কিংবদন্তির দখলে। ৫০টি ম্যাচে এই রেকর্ড স্পর্শ করেছেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান ও ভারতের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক কপিল দেব। ৫১ ম্যাচে এই ক্লাবে প্রবেশ করেন ভারতের রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ৫৩ ম্যাচে এই ক্লাবে প্রবেশের রেকর্ডে যৌথভাবে চতুর্থ স্থানে আছেন রবীন্দ্র জাদেজা ও মেহেদী হাসান মিরাজ। আর ৫৪ ম্যাচে এই রেকর্ড গড়ে পঞ্চম স্থানে আছেন সাকিব আল হাসান।