
রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল আলিমের বিরুদ্ধে ঘুষ, ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি দখল ও পুলিশের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ভাঙার একাধিক গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। পুলিশের একটি বিশেষ গোপন তদন্তে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। অল্প সময়েই বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হওয়া এই কর্মকর্তা পুলিশের অভ্যন্তরে নানা মহলে তীব্র আলোচনার জন্ম দিয়েছেন।
বিশেষ তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গুলশানের ডায়মন্ড ব্যবসায়ী দীলিপ আগারওয়াল ও গাড়ি আমদানিকারক আসলাম সেরনিয়াবাতকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে থানা হেফাজতে রেখে ওসি আলিম আদায় করেছেন প্রাইভেট কার, ১২টি ডায়মন্ড নেকলেস ও নগদ ১৭ লাখ টাকা। বাড্ডা থানার মামলার আসামি হলেও তাদের রাখা হয় ক্যান্টনমেন্ট থানায়, যেখানে ওসি আলিম বিভিন্ন কৌশলে বাধা দেন তদন্তে।
আসলাম সেরনিয়াবাতের ভাই হাফিজ আল আসাদ তদন্ত কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, ওসি আলিম ভয়ভীতি দেখিয়ে গাড়ি আদায় করেন। তার ভাষায়, ওসির ব্যবহার ছিল অপেশাদার এবং জঘন্য। ইসিবি চত্বরের একটি ফ্ল্যাট নিয়ে চলমান মামলায় আদালতের স্থিতাবস্থা আদেশ উপেক্ষা করে ৫ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে শাকিলকে দখল করে দিয়েছেন ওসি আলিম। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, থানা প্রশাসনের একাংশ তাদের নিয়মিত ভয়ভীতি দেখিয়েছে। এমনকি কনস্টেবল সাইফুল ভুক্তভোগীর স্বামীর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা আদায় করে ওসিকে দিয়েছেন যাতে হয়রানি না হয়।
অভিযোগ রয়েছে, ওসি আলিম প্রায়ই থানার বাইরে সময় কাটান, গুলশানের বিভিন্ন ক্লাব ও হোটেলে তার নিয়মিত আড্ডা। তিনি পুলিশের চেইন অব কমান্ডও উপেক্ষা করেন। একসময় নিজেকে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ দাবি করলেও, বর্তমানে বিএনপিপন্থী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সুবিধা নিচ্ছেন। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আউটসাইড ক্যাডেট এসআই হিসেবে নিয়োগ পান আলিম। বর্তমানে তার নিজ জেলা বগুড়াকে কেন্দ্র করে একটি প্রভাবশালী বলয় গড়ে তুলেছেন।
ওসি আলিমের কর্মকাণ্ডে পুলিশ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিব্রত। গুলশান জোনের ডিসি তারেক মাহমুদ বলেন, তদন্ত পুলিশের অন্য ইউনিট করেছে। প্রমাণিত হলে ডিএমপি কমিশনার ব্যবস্থা নেবেন। অতিরিক্ত কমিশনার ফারুক আহমদ জানান, পুলিশ সপ্তাহ শেষে কমিশনার স্যারের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, থানার সাধারণ মানুষ সেবা না পেয়ে ফিরে যান। অভিযোগ জমা পড়লেও পদক্ষেপ নিতে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হয়। মো. রাকিব হোসেন নামের এক ব্যক্তি কমিশনার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্তে ওসি আলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগের অধিকাংশ সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। প্রশাসনের দায়িত্বে থেকে যিনি জনসেবার পরিবর্তে দুর্নীতিকে হাতিয়ার করেন, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া না হলে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ও জনআস্থা দুটিই প্রশ্নের মুখে পড়ে। ওসি আলিমের ঘটনা তারই একটি ভয়ানক উদাহরণ।
বিশেষ তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, গুলশানের ডায়মন্ড ব্যবসায়ী দীলিপ আগারওয়াল ও গাড়ি আমদানিকারক আসলাম সেরনিয়াবাতকে জিজ্ঞাসাবাদের নামে থানা হেফাজতে রেখে ওসি আলিম আদায় করেছেন প্রাইভেট কার, ১২টি ডায়মন্ড নেকলেস ও নগদ ১৭ লাখ টাকা। বাড্ডা থানার মামলার আসামি হলেও তাদের রাখা হয় ক্যান্টনমেন্ট থানায়, যেখানে ওসি আলিম বিভিন্ন কৌশলে বাধা দেন তদন্তে।
আসলাম সেরনিয়াবাতের ভাই হাফিজ আল আসাদ তদন্ত কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন, ওসি আলিম ভয়ভীতি দেখিয়ে গাড়ি আদায় করেন। তার ভাষায়, ওসির ব্যবহার ছিল অপেশাদার এবং জঘন্য। ইসিবি চত্বরের একটি ফ্ল্যাট নিয়ে চলমান মামলায় আদালতের স্থিতাবস্থা আদেশ উপেক্ষা করে ৫ লাখ টাকা ঘুষের বিনিময়ে শাকিলকে দখল করে দিয়েছেন ওসি আলিম। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, থানা প্রশাসনের একাংশ তাদের নিয়মিত ভয়ভীতি দেখিয়েছে। এমনকি কনস্টেবল সাইফুল ভুক্তভোগীর স্বামীর কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা আদায় করে ওসিকে দিয়েছেন যাতে হয়রানি না হয়।
অভিযোগ রয়েছে, ওসি আলিম প্রায়ই থানার বাইরে সময় কাটান, গুলশানের বিভিন্ন ক্লাব ও হোটেলে তার নিয়মিত আড্ডা। তিনি পুলিশের চেইন অব কমান্ডও উপেক্ষা করেন। একসময় নিজেকে আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ দাবি করলেও, বর্তমানে বিএনপিপন্থী পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সুবিধা নিচ্ছেন। ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় আউটসাইড ক্যাডেট এসআই হিসেবে নিয়োগ পান আলিম। বর্তমানে তার নিজ জেলা বগুড়াকে কেন্দ্র করে একটি প্রভাবশালী বলয় গড়ে তুলেছেন।
ওসি আলিমের কর্মকাণ্ডে পুলিশ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিব্রত। গুলশান জোনের ডিসি তারেক মাহমুদ বলেন, তদন্ত পুলিশের অন্য ইউনিট করেছে। প্রমাণিত হলে ডিএমপি কমিশনার ব্যবস্থা নেবেন। অতিরিক্ত কমিশনার ফারুক আহমদ জানান, পুলিশ সপ্তাহ শেষে কমিশনার স্যারের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, থানার সাধারণ মানুষ সেবা না পেয়ে ফিরে যান। অভিযোগ জমা পড়লেও পদক্ষেপ নিতে দীর্ঘসূত্রতা তৈরি হয়। মো. রাকিব হোসেন নামের এক ব্যক্তি কমিশনার বরাবর অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্তে ওসি আলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগের অধিকাংশ সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে। প্রশাসনের দায়িত্বে থেকে যিনি জনসেবার পরিবর্তে দুর্নীতিকে হাতিয়ার করেন, তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া না হলে প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা ও জনআস্থা দুটিই প্রশ্নের মুখে পড়ে। ওসি আলিমের ঘটনা তারই একটি ভয়ানক উদাহরণ।