
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের দেয়া পরমাণু চুক্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। সেই সঙ্গে প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেছেন, তেহরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ ত্যাগ করবে না।
নতুন পরমাণু চুক্তির লক্ষ্যে চলমান আলোচনার ধারাবাহিকতায় গত শনিবার (৩১ মে) ইরানকে পরমাণু চুক্তির লিখিত প্রস্তাব দেয় যুক্তরাষ্ট্র। প্রস্তাবে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রধান দাবি, ইরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। যে দাবি শুরু থেকেই নাকচ করে আসছে তেহরান। মার্কিন পরমাণু চুক্তির প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় সেই বিষয়টাই আরও একবার স্পষ্ট করলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি। বুধবার (৪ জুন) ইসলামি প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির স্মরণানুষ্ঠানে এক ভাষণে তিনি বলেন, মার্কিন পরমাণু প্রস্তাব আমাদের জাতির আত্মনির্ভরশীলতার বিশ্বাস ও সক্ষমতা নীতির সাথে সাংঘর্ষিক। খামেনি আরও বলেন, ‘ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের বিষয়টি ইরানের জ্বালানি স্বাধীনতা অর্জনের মূল চাবিকাঠি। স্বাধীনতা মানে আমেরিকা ও আমেরিকার মতো দেশগুলোর কাছ থেকে সবুজ সংকেতের জন্য অপেক্ষা না করা।’ তিনি আরও বলেন, ‘মার্কিন প্রস্তাব ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের আদর্শের সম্পূর্ণ বিরোধী।’ এর আগে গত মঙ্গলবার (৩ জুন) লেবানন সফরকালে সাংবাদিকদের ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া নতুন পরমাণু চুক্তি প্রস্তাবে ‘অনেক অস্পষ্টতা ও প্রশ্ন’ রয়েছে। আরাগচির কথায়, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আমরা যে লিখিত প্রস্তাব পেয়েছি, তাতে অনেক অস্পষ্টতা ও প্রশ্ন রয়েছে। এই প্রস্তাবের অনেক বিষয় স্পষ্ট নয়।’ ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে পরমাণু চুক্তি সম্পন্ন করার আলোচনায় মূল বিষয় হলো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ। ইরান এটিকে তাদের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তি কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার অধিকার হিসেবে দেখছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এটা তাদের ‘রেড লাইন’ অর্থাৎ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করে দিতে হবে।
গত সোমবার (২ জুন) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তির অধীনে ইরানকে কোনো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অনুমতি দেয়া হবে না। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক মঙ্গলবার (৩ জুন) বলেন, ‘ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চালিয়ে যাওয়া আমাদের রেড লাইন।’ আরাগচি আরও বলেন, ‘আমরা ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চালিয়ে যাওয়ার জন্য কারও অনুমতি চাইব না। তবে এই সমৃদ্ধকরণ যাতে পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনের দিকে না নিয়ে যায়, তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।’ চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি আইএইএ এক প্রতিবেদনে জানায়, তেহরান ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধ মাত্রার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের উৎপাদন বাড়িয়েছে। যেখানে পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য প্রায় ৯০ শতাংশ স্তরে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের প্রয়োজন। গত সোমবার কায়রোতে আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রোসির সঙ্গে বৈঠক করেন আরাগচি। এ সময় সংস্থাটিকে প্রতিবেদন প্রকাশের ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতার আহ্বান জানান তিনি।
নতুন পরমাণু চুক্তির লক্ষ্যে চলমান আলোচনার ধারাবাহিকতায় গত শনিবার (৩১ মে) ইরানকে পরমাণু চুক্তির লিখিত প্রস্তাব দেয় যুক্তরাষ্ট্র। প্রস্তাবে ট্রাম্প প্রশাসনের প্রধান দাবি, ইরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ পুরোপুরি বন্ধ করতে হবে। যে দাবি শুরু থেকেই নাকচ করে আসছে তেহরান। মার্কিন পরমাণু চুক্তির প্রস্তাবের প্রতিক্রিয়ায় সেই বিষয়টাই আরও একবার স্পষ্ট করলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি। বুধবার (৪ জুন) ইসলামি প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির স্মরণানুষ্ঠানে এক ভাষণে তিনি বলেন, মার্কিন পরমাণু প্রস্তাব আমাদের জাতির আত্মনির্ভরশীলতার বিশ্বাস ও সক্ষমতা নীতির সাথে সাংঘর্ষিক। খামেনি আরও বলেন, ‘ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের বিষয়টি ইরানের জ্বালানি স্বাধীনতা অর্জনের মূল চাবিকাঠি। স্বাধীনতা মানে আমেরিকা ও আমেরিকার মতো দেশগুলোর কাছ থেকে সবুজ সংকেতের জন্য অপেক্ষা না করা।’ তিনি আরও বলেন, ‘মার্কিন প্রস্তাব ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের আদর্শের সম্পূর্ণ বিরোধী।’ এর আগে গত মঙ্গলবার (৩ জুন) লেবানন সফরকালে সাংবাদিকদের ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র থেকে পাওয়া নতুন পরমাণু চুক্তি প্রস্তাবে ‘অনেক অস্পষ্টতা ও প্রশ্ন’ রয়েছে। আরাগচির কথায়, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আমরা যে লিখিত প্রস্তাব পেয়েছি, তাতে অনেক অস্পষ্টতা ও প্রশ্ন রয়েছে। এই প্রস্তাবের অনেক বিষয় স্পষ্ট নয়।’ ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে পরমাণু চুক্তি সম্পন্ন করার আলোচনায় মূল বিষয় হলো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ। ইরান এটিকে তাদের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক শক্তি কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার অধিকার হিসেবে দেখছে। অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, এটা তাদের ‘রেড লাইন’ অর্থাৎ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করে দিতে হবে।
গত সোমবার (২ জুন) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ওয়াশিংটনের সঙ্গে সম্ভাব্য চুক্তির অধীনে ইরানকে কোনো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের অনুমতি দেয়া হবে না। এর প্রতিক্রিয়ায় ইরানের শীর্ষ কূটনীতিক মঙ্গলবার (৩ জুন) বলেন, ‘ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চালিয়ে যাওয়া আমাদের রেড লাইন।’ আরাগচি আরও বলেন, ‘আমরা ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চালিয়ে যাওয়ার জন্য কারও অনুমতি চাইব না। তবে এই সমৃদ্ধকরণ যাতে পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনের দিকে না নিয়ে যায়, তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত।’ চলতি সপ্তাহে জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি আইএইএ এক প্রতিবেদনে জানায়, তেহরান ৬০ শতাংশ বিশুদ্ধ মাত্রার সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের উৎপাদন বাড়িয়েছে। যেখানে পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য প্রায় ৯০ শতাংশ স্তরে সমৃদ্ধ ইউরেনিয়ামের প্রয়োজন। গত সোমবার কায়রোতে আইএইএ প্রধান রাফায়েল গ্রোসির সঙ্গে বৈঠক করেন আরাগচি। এ সময় সংস্থাটিকে প্রতিবেদন প্রকাশের ক্ষেত্রে আরও স্বচ্ছতার আহ্বান জানান তিনি।