
দেশে এখন বছরে ১৫ লাখ টন পাট উৎপাদন হচ্ছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরে দেশে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ লাখ ৫ হাজার হেক্টর জমিতে। এ চাষের জন্য প্রয়োজন হবে ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার টন পাটবীজ। এছাড়া বছরে পাটকাঠির উৎপাদন ৩০ লাখ টন এবং চারকোল উৎপাদন ৬ লাখ টন। এ চারকোল রপ্তানিতে সরকার ২০ শতাংশ নগদ প্রণোদনাও দিচ্ছে। গতকাল সোমবার রাজধানীতে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) আয়োজিত ‘বার্ষিক অভ্যন্তরীণ গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালা-২০২৫’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়েছে। কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান। তিনি এসময় বলেন, পাট শুধু অর্থকরী ফসল নয়, এটি আমাদের গর্ব, আমাদের পরিচয়ের প্রতীক। পাট নিয়ে আমাদের বদ্ধ চিন্তাভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। বাজার, প্রযুক্তি ও বাস্তবতা বিশ্লেষণ করে নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে গবেষণায় অগ্রসর হতে হবে। সচিব দেশের পাট গবেষকদের উদ্দেশে বলেন, সার্বিকভাবে দেখতে হবে—পাটের উন্নয়ন কীভাবে কৃষকের কাছে যায়, কীভাবে শিল্পের কাঁচামাল হিসেবে আরও ব্যবহার বাড়ে এবং কীভাবে আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের অবস্থান সুদৃঢ় হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বিজেআরআই’র মহাপরিচালক ড. নার্গীস আক্তার বলেন, বিজেআরআই এরই মধ্যে ৫৭টি পাটের জাত, ২২৩টি কৃষি প্রযুক্তি এবং ৬৯টি শিল্প ও কারিগরি প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আবু জুবাইর হোসেন বাবলু, কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. নাজমুন নাহার করিম, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. আব্দুল লতিফ প্রমুখ।