দেশে নারী-শিশু নির্যাতন মহামারি পর্যায়ে-শারমীন এস মুরশিদ

আপলোড সময় : ০৪-০৭-২০২৫ ০৭:৩৪:৩৬ অপরাহ্ন , আপডেট সময় : ০৪-০৭-২০২৫ ০৭:৩৪:৩৬ অপরাহ্ন
বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন মহামারি পর্যায়ে রয়েছে, এমন মন্তব্য করেছেন সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। তিনি বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে উপজেলা পর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) নেতৃত্বে কুইক রেসপন্স টিম গঠন করা হচ্ছে। এরইমধ্যে এর কাঠামো চূড়ান্ত করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে সারাদেশে অব্যাহত নারীর প্রতি সহিংসতা, ধর্ষণ ও নিপীড়ন বন্ধে নেওয়া পদক্ষেপ নিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশে নারী ও শিশু নির্যাতন একটি এপিডেমিক (মহামারি) পর্যায়ে রয়েছে। আমি এই জিনিসটা নিয়ে কাজ করছি গত ৪০ বছর ধরে। সরকার এসেছে, সরকার গেছে, কেউ কিন্তু এটি সামাল দিতে পারেনি। নারী ও শিশু নির্যাতন বন্ধ না করতে পারার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, এর একটি বড় কারণ হলো রাজনীতি, একটা বড় কারণ হলো মাদক। আর একটি বড় কারণ হলো, আমাদের তরুণ, বাচ্চা ছেলে-মেয়েদের ঠিকমতো মানুষ করতে না পারা। তিনি আরও বলেন, এখন এসেছে এই মোবাইল ও পর্নোগ্রাফি। কিছুদিন আগে আমার কাছে একটা অভিযোগ এসেছে, অভিযোগ শুনে আমি হাত পা ছেড়ে দিয়ে ভাবছি- আমি এটা নিয়ে কী করব! ১০ বছরের একটি বাচ্চা আড়াই বছরের একটি মেয়েকে...এটাকে আমি কী করে ধর্ষণ বলি? উপদেষ্টা বলেন, এই বাচ্চা ছেলেটাকে যখন আনা হলো সে তো বুঝেই না, সে কি দেখে? সে দেখে, বড়রা যা দেখেন। তার যে মানসিক বিকৃতি ঘটছে, আমরা যারা দায়িত্বশীল তারা কী করছি? আমরা এই শিশুদের প্রোটেকশন দিতে পারছি না। তিনি বলেন, আমাদের তো একজনকে মেডিকেলি ট্রিট করতে হচ্ছে। অন্য বাচ্চাটাকে কাউন্সিলিং, একটা ১০ বছরের বাচ্চা কাউন্সিলিং কতটুকু বোঝে আমি জানি না। তাকে তো সেরকম কিছু একটা করতে হবে। এগুলো হচ্ছে জটিল সামাজিক সমস্যা। কিন্তু সমস্যা বলে তো আমি এগুলো কার্পেটের নিচে লুকিয়ে রাখতে পারছি না। মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, এই সহিংসতাগুলো এতই ব্যাপক যে এগুলোর বিষয়ে আমরা মন্ত্রণালয় থেকে কঠোর কতগুলো আইনি দাবি তুলতে যাচ্ছি। একটি হলো পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ। সারা পৃথিবী যদি পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে, আমার দেশ কেন করতে পারে না! আমি আমার জায়গা থেকে সরকারে বসে যতটা সম্ভব এ নিয়ে যুদ্ধ করব। আমাদের বাচ্চাদের হাতে এটা (পর্নোগ্রাফি) তুলে দেওয়া যাবে না। তিনি বলেন, আমাদের মন্ত্রণালয়ের একটি টোলফ্রি হটলাইন আছে। সেখানে গত ১০ থেকে ১১ মাসে আমাদের কাছে দুই লাখ ৮১ হাজার অভিযোগ এসেছে। এর বেশির ভাগ অভিযোগ এসেছে নানা ধরনের তথ্য চেয়ে। আমরা গত ১০ থেকে ১১ মাসে শতাধিক নারীকে সহায়তা দিতে পেরেছি।
 

সম্পাদকীয় :

সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : সৈয়দ এম. আলতাফ হোসাইন।

ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক : সৈয়দ মোঃ আতিকুল হাসান।

নির্বাহী সম্পাদক আশীষ কুমার সেন।

ফোন : ৪৯৩৫৭৭৩০ (বার্তা), ৮৩১৫৬৪৯ (বাণিজ্যিক), ফ্যাক্স; ৮৮-০২-৮৩১৪১৭৪

অফিস :

প্রকাশক কর্তৃক রোমাক্স লিমিটেড, তেজগাঁও শিল্প এলাকা থেকে মুদ্রিত।

সম্পাদকীয়, বার্তা ও বাণিজ্যিক কার্যালয় : খলিল ম্যানশন (৩য়, ৫ম ও ৬ষ্ঠ তলা), ১৪৯/এ, ডিআইটি এক্সটেনশন এভিনিউ, ঢাকা-১০০০ থেকে প্রকাশিত।

ই-মেইল : [email protected], ওয়েবসাইট : www.dainikjanata.net