
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালে ‘পেছনের টেবিলে লেনদেনের মাধ্যমে ও অন্ধকারে’ চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ফার্টিলিটি হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. এস এম খালিদুজ্জামান। নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, ফ্যাসিস্ট আমলেও এমন নিয়োগ হয়নি। কোনো বিশেষ অবস্থায় চিকিৎসক নিয়োগ হতে পারে, সেটি বেসরকারি হাসপাতালের ক্ষেত্রে। তবে সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত কোনো হাসপাতালে এভাবে নিয়োগ হতে পারে না। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর শ্যামলীতে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের সামনে প্রজ্ঞাপন ছাড়া অবৈধভাবে চিকিৎসক নিয়োগের প্রতিবাদে সাধারণ চিকিৎসকদের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। লোকচক্ষুর অন্তরালে কোনো ধরনের সার্কুলার বা নিয়োগ পরীক্ষার তোয়াক্কা না করে নিয়োগ হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, এখানে যতজন আবেদন করেছে ততজনের নিয়োগ হয়েছে। তবে তা-ও হয়েছে অন্ধকারে। নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসকরা নিজেদের বৈধ দাবি করছেন, আপনারা কেন বিরোধিতা করছেন- জানতে চাইলে ডা. খালিদুজ্জামান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারও তাদের সময়ে অনেক নিয়োগকে বৈধ বলেছেন। সেরকমই এটিকেও বৈধ বলা হচ্ছে। কিন্তু আমাদের দায়িত্ব মানুষের কাছে তা তুলে ধরা। তিনি বলেন, এ ধরনের নিয়োগ ফ্যাসিস্ট সরকারও করেনি। কেন এখানে আমরা এ ধরনের নিয়োগ দেবো। এখানে সার্কুলার দিয়ে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ হবে। যারা নিয়োগ পেয়েছেন তাদের যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন আছে কি না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, পেছনের টেবিলে লেনদেনের মাধ্যমে নিয়োগ হলে সেখানে অবশ্যই যোগ্যতার প্রশ্ন থাকে। তারা যোগ্য হলে ফাইট করে এ পদে আসবেন। এ বিষয়ে আপনারা কাদের দায়ী করছেন- এ প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা অবশ্যই পরিচালক প্রশাসনকে দায়ী করছি, নিয়োগপত্রে সাইন যারা করেছেন তাদের। যারা দায়িত্বে আছেন তাদের বলি, আপনারা অসম্মানের ভাগিদার হবেন না। এসময় অন্য চিকিৎসকরা জানান, ৬৫ জন নিয়োগ হয়েছে কোনো প্রকার পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া। যা কোনোভাবে মেনে নেয়া যায় না। বাংলাদেশ শিশু হাসপাতালের মতো এমন একটি প্রতিষ্ঠানে এভাবে স্বচ্ছতা ছাড়া নিয়োগ কোনোভাবে কাম্য নয়। এটি অনেকটা কোটায় নিয়োগের মতো হয়ে গেছে। তারা বলেন, আমরা আমাদের সম্মানিত শিক্ষকদের অনুরোধ করবো, যেন চিকিৎসক নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া হয়।