
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে শুরু করে সাম্য হত্যা, মিটফোর্ডে ঘটনা এসবে এমন কেউ জড়িত আছে, যারা তাবেদার শক্তির এদেশীয় ধারকবাহক। কারণ জাতীয়তাবাদী শক্তিকে আধিপত্যবাদী শক্তি কখনো পছন্দ করে না। তারা জানে, জাতীয়তাবাদী শক্তি স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের ব্যাপারে ছাড় দেবে না, গণতন্ত্রের প্রশ্ন ছাড় দেবে না, জনগণের অধিকারের প্রশ্নে ছাড় দিবে না। এই কারণেই আজ একটার পর একটা সংঘাতমূলক ও সহিংস ঘটনা, রক্তপাতের ঘটনা তৈরি করা হচ্ছে। গতকাল সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এমন মন্তব্য করেন। কোনো এক ইসলামী সংগঠন প্রোপাগান্ডা ও বিভিন্ন কন্টেন্ট ক্রিয়েট করে ফেসবুকে ছড়াচ্ছে অভিযোগ করে রিজভী বলেন, কুমিল্লার মুরাদনগরে একজন হিন্দু মেয়ে ধর্ষিত হলেন। বলা হলো এতে বিএনপির অঙ্গ-সংগঠন যুবদল দায়ী। কিন্তু ধর্ষিতার স্বামী বলছেন, এখানে বিএনপির কেউ জড়িত না। এখানে ওই এলাকার যে উপদেষ্টা তার লোকজন জড়িত। অথচ বিএনপির নামে শুরু থেকে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোবাইল চুরির দায়ে একজন মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হলো, ছাত্রদলের সাম্যকে হত্যা করা হল। এগুলো কীসের আলামত? যখনই প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সাহেব লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করলেন এবং বৈঠকের পরে একটি যৌথ বিবৃতি আসলো। তারপর থেকেই বাংলাদেশে পিআর পদ্ধতিতে নিবার্চনের দাবি শুরু হলো। এইটা ছাড়া আমরা নির্বাচন করবো না, নির্বাচনে যাব না- এটার উদ্দেশ্যটা আমরা এখন বুঝতে পারি। কোনো উসকানির মুখে প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না- নেতাকর্মীদের প্রতি এমন নির্দেশ দিয়ে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, আমাদের চেয়ারম্যান ও গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে সমস্ত অপপ্রচার-ষড়যন্ত্র আমরা সামাল দিতে পারব। কারণ জনগণ তো আমাদের সঙ্গে আছে। ওরা ভয় পাচ্ছে, জনগণ যদি তাদের সঙ্গে থাকতো, তাহলে ওরা কোনদিনই নির্বাচন পেছানোর কথা বলতো না। পিআরের কথা বলত না। একটা ধোঁয়াশা তৈরি করে পানি ঘোলা করে তারা মাছ শিকারের প্রচেষ্টায় কাজ করছে। আধিপত্যবাদী শক্তি এবং এর দালালরা গভীর চক্রান্ত করছে জানিয়ে রিজভী বলেন, তাদের পাতানো ষড়যন্ত্রের জালে আমাদের নেতাকর্মী বা আমাদের পক্ষের যারা সমর্থক, পেশাজীবী সংগঠন কারও পা দেওয়া যাবে না।