
আবু জাফর
রাজধানীর পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের পাশে সোহাগ নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীকে নিমর্মভাবে হত্যা করা হয়। ১০ থেকে ১৫ ভ্যানের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী সোহাগকে বড় বড় পাথর ছুড়ে শত শত মানুষের সম্মুখে হত্যা করা হয়। শুধু তাই নয় লোমহর্ষক এই হত্যাকাণ্ড মধ্যযুগিও কেও হার মানিয়েছেন। সোহাগের মৃত্যু নিশ্চিৎ হওয়ার পর ও খুনিরা সোহাগের নিথর দেহের ওপর উঠে লাফাচ্ছিল। পুরো হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি সিসি টিভি ফুটেজে বীভৎসতা দেখা গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে। লোমহর্ষক বীভৎস হত্যাকাণ্ডের সময় সাধারণ মানুষ মৃত দেহের চারপাশে জটলা বাধা ছিল। বস্ত্রহীন রক্তাক্ত নীথর দেহ কয়েক তরুণ টেনে হ্যাচড়ে বের করছিল।
এ ঘটনার পর সারাদেশব্যাপী একটি নতুন ধরনের হত্যাকাণ্ডের তুমুল ঝড় উঠে। ঘটনার পর পর স্থানীয় থানা পুলিশ র্যাবসহ যৌথ বাহিনীর সদস্য ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত ৭/৮ জনকে গ্রেফতার করে। কিন্তু এখনও অধরা রয়ে গেছে সোহাগের ওপর পাথর নিক্ষেপকারী ১৪/এ আওলাদ হোসেন রোডের মৃত ইব্রাহিমের ছেলে সাখাওয়াত হোসেন আনান, নিহত সোহাগের স্ত্রী লাকি জানান, সোহাগের খুব কাছের বন্ধু ছিলেন মহিন ও আনান, এরা দীর্ঘদিন ধরে একত্রে ব্যবসা ও করতো। এরা সব সময় তার বাসায় এসে একত্রে খাওয়া-দাওয়া ও করতো। কিন্তু কিছু দিন আগে মহিন ও আনানসহ বেশ কয়েক বন্ধু সোহাগের ব্যবসার ভাগ দাবি করেন। কিন্তু সোহাগ দিতে রাজী হয়নি।
ব্যবসায় ভাগ না দেয়ার কারণে মহিন ও আনান তাদের আরো কয়েকজন সহযোগিরা একত্রিত হয়ে গোপন বৈঠক করেন। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় সোহাগকে মেরে ফেলতে হবে। আর সোহাগকে মারতে পারলেই পুরো ব্যবসা তাদের নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। মহিন স্থানীয় থানা যুব দলের সদস্য। আনান ও ঐ এলাকার সোহাগের হত্যাকাণ্ডের সাথে সারাসরি যারা জড়িত ওদের মধ্যে ৮ জন এরই মধ্যে গ্রেফতার হয়েছে। তবে এখনও গ্রেফতার হয়নি ঘটনার সরাসরি জড়িত আনান। নিহতর স্ত্রী লাকি জানান, আনানকে অতিদ্রুত গ্রেফতার করা হোক।