
শ্রীপুর (গাজীপুর) প্রতিনিধি
মাইকে ঘোষণা দিয়ে মাথায় লাল কাপড় বেঁধে অস্ত্রের মহড়া দিয়ে এম সি বাজারে চাঁদাবাজির ঘটনায় বহিষ্কৃত সেই যুবদল নেতাকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহস্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু। গতকাল বুধবার সকালে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেপিরবাড়ী গ্রামের বৃন্দাবন এলাকা থেকে তাকে জনসাধারণের সহযোগিতায় পুলিশে তুলে দেয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মহম্মদ আব্দুল বারিক।
গ্রেফতারকৃত জাহাঙ্গীর আলম পিন্টু (৪২) উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের মুলাইদ গ্রামের মো. নূরুল ইসলামের ছেলে। সে শ্রীপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন। ঘটনার পরপরই তাকে বহিষ্কার করে যুবদল। বিএনপি নেতা অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ কোনো রাজনৈতিক দলের নেতা হতে পারে না। একজন অপরাধী প্রকাশ্যে মাইকে ঘোষণা দিয়ে বাজারে চাঁদাবাজি করে। মুহূর্তে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। অথচ পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। বুধবার সকালে আমার নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে জানতে পারি, টেংরা গ্রামের বৃন্দাবন এলাকায় সে আত্মগোপনে আছে। এরপর স্থানীয় জনতা ও নেতা-কর্মীদের সহযোগিতায় তাকে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়েছে। শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মহম্মদ আব্দুল বারিক বলেন, গ্রেফতারকৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, বিস্ফোরকসহ কমপক্ষে সাতটি মামলা রয়েছে। সে বিভিন্ন কারখানাসহ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে চাঁদাবাজি করে আসছে। ঘটনার পর থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করে আসছে। সকালে কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু ফোন করে জানান, অভিযুক্ত আসামিকে আটক করে রাখা হয়েছে। বিষয়টি জানার পরপরই পুলিশ পাঠিয়ে তাকে থানায় আনা হয়। এ বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন। উল্লেখ্য, গত ২২ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের এম সি বাজার এলাকার স্বপ্নপুরী হোটেলের সামনে হ্যান্ড মাইক দিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজির ঘোষণা দেন জাহাঙ্গীর আলম পিন্টু।