
জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো.তাহের বলেছেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের স্থান নেই। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করবে জামায়াত। গতকাল শনিবার বিকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। ডা. তাহের বলেন, আওয়ামী লীগ এ মুহূর্তে বাংলাদেশে অপ্রাসঙ্গিক। জামায়াত নতুন বাংলাদেশ চায়। পিআর পদ্ধতি ছাড়া নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করা সম্ভব নয়। তিনি অভিযোগ করেন, ঐকমত্য কমিশনে দুই-একটি দল একমত হতে চায় না। তিনি আরও বলেন, জামায়াত সব শ্রেণির মানুষের দল। জামায়াত কোনো সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেয় না। আগামী নির্বাচন জনগণ যাদের ভোট দেবে, বাংলাদেশ পন্থা জিতবে চাঁদাবাজদের বিরোধীরা জিতবে। ডা. তাহের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকারও আহ্বান জানান। বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে তাহের বলেন, বাইরে সভা করেন, সমাবেশ করেন। বলে বেড়ান সংস্কার মানি। অথচ ঐকমত্য কমিশনের মিটিংয়ে বসলে কিচ্ছু মানি না ভাব দেখায়। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর দেশের জনগণ সংস্কার চেয়েছে। তারা এখনো সংস্কার চায়, সংস্কারের পরেই নির্বাচনের পক্ষে দেশের জনগণ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল মনে করে, সংস্কার সবার জন্যই কল্যাণকর। কিন্তু যারা সংস্কার চান না, তাদের নিশ্চিয়ই বদমতলব আছে। জুলাই সনদ ও সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকগুলোতে জামায়াতের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। সংস্কার কমিশনের ভেতরে-বাইরে কী হয়, সমাবেশের বক্তব্যে তিনি এটাও উল্লেখ করেন। জাতীয় নির্বাচনে পিআর পদ্ধতি চালু করা প্রসঙ্গে আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেন, পিআর পদ্ধতিতে টাকা দিয়ে ভোট কেনার সুযোগ নেই। সেজন্য মতলব পূরণ হবে না। পিআর পদ্ধতিতে স্বচ্ছ নির্বাচনের বিরোধিতা করা মানে তারা জাতির প্রত্যাশা নিয়ে সচেতন নয়। বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ডা. তাহের আরও বলেন, আপনারা বলছেন পার্লামেন্টে বসে সংস্কার করবেন। কেন এমনটা মনে করছেন? আপনারা মনে করছেন আগামী নির্বাচনে আপনারা জিতবেন, নাকি দখল করবেন? নির্বাচনে দখলবাজি করতে দেবে না জনগণ। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চাঁদাবাজবিরোধীরাই জিতবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী চায় আগামী নির্বাচনে জনগণের জয় হোক। জনগণ যাদের ভোট দেবে, তারাই জিতবে। সোহরাওয়ার্দীর বিশাল এ সমাবেশ, মেসেজ কি পাওয়া যাচ্ছে না কারা জিতবে? আগামীতে বাংলাদেশপন্থিরাই জিতবে, চাঁদাবাজবিরোধীরাই জিতবে, সুশাসনের পক্ষের শক্তির বিজয় হবে।