
রাজধানীর মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত রজনী ইসলামের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৫টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে তার লাশ কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। রজনী দৌলতপুর উপজেলার হোগলবাড়িয়া ইউনিয়নের সাদিপুর গ্রামের ব্যবসায়ী জহুরুল ইসলামের স্ত্রী। এর আগে ভোর ৪টার দিকে রজনীর লাশ ঢাকা থেকে বাবার বাড়ি মেহেরপুরের গাংনীতে নেওয়া হয়। সেখানে লাশ পৌঁছালে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। ঘণ্টাখানেক অপেক্ষার পর ভোর ৫টার দিকে লাশটি পার্শ্ববর্তী দৌলতপুর উপজেলার সাদিপুরে তার স্বামীর বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। এখানেই সকাল ৯টার দিকে জানাজা শেষে সাদিপুর কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়। নিহত রজনী ইসলামের তিন সন্তানের মধ্যে দুই সন্তান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে অধ্যয়নরত ছিল। মেয়ে ঝুমঝুম ইসলাম পঞ্চম শ্রেণিতে এবং ছেলে রোহান ইসলাম ষষ্ঠ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার আগেই রজনী তার মেয়েকে নিতে স্কুলে গিয়েছিলেন। এ ঘটনায় মাথার পেছনে গুরুতর আঘাত পাওয়ায় তাকে উদ্ধার করে সিএমএইচে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়। ধারণা করা হচ্ছে, বিধ্বস্ত বিমানের খণ্ডিত অংশ রজনী ইসলামের মাথার পেছনে আঘাত করে। রজনীর স্বামী-সন্তানসহ ঢাকার উত্তরায় বসবাস করতেন।