ঢাকা , বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫ , ১৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
সবাই মিলে রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুযোগ হয়েছে-আলী রীয়াজ মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বদলিতে কোটি কোটি টাকার বাণিজ্য ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলার আবেদন রাস্তায় অভিনেতাকে সিদ্দিককে গণপিটুনি কারিগরি শিক্ষার্থীরা যা শিখছেন, চাকরির বাজারে তার চাহিদা নেই -সিপিডি আগামী নির্বাচনে সীমিত পরিসরে হলেও প্রবাসীদের ভোটের প্রস্তুতি চলছে : সিইসি জনবান্ধব পুলিশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পুলিশকে উজ্জীবিত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার সরকারি কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব জমা দিতে গড়িমসি অপকর্ম বন্ধ করুন, নইলে বিএনপিকেও জনগণ ছুড়ে মারবে -নেতাকর্মীদের ফখরুল সভ্য হতে হলে প্রত্যক্ষ কর আদায় বাড়াতে হবে : এনবিআর চেয়ারম্যান বইপ্রেমী এক ডিসির গল্প গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে চিকিৎসাধীন অন্তঃসত্ত্বার মৃত্যু গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ দুই বোন ই-৮ ভিসায় দক্ষিণ কোরিয়ায় গেলেন ২৫ কর্মী পুলিশের জন্য ১৭২ কোটি টাকায় কেনা হবে ২০০ জিপ সামাজিক সুরক্ষায় যুক্ত হচ্ছে আরও ৬ লাখ ২৪ হাজার উপকারভোগী ফ্যাসিস্টদের পুনর্বাসনে লিপ্ত থাকার অভিযোগ গ্যাস খাতে বছরে আর্থিক ক্ষতি বিলিয়ন ডলার নতুন লুকে নজর কাড়লেন ব্লেক লাইভলি

ভরা তিস্তা এখন মরা খাল

  • আপলোড সময় : ০৬-০২-২০২৫ ১০:৪২:১৯ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৬-০২-২০২৫ ১০:৪২:১৯ পূর্বাহ্ন
ভরা তিস্তা এখন মরা খাল
আ. মতিন সরকার, সুন্দরগঞ্জ (গাইবান্ধা) ভরা তিস্তা এখন মরা। এক সময়ের খরস্রোতী রাক্ষুসি তিস্তা নদী এখন ধূ-ধূ বালুচরে রূপ নিয়েছে। সেই বালুচরে এবং শাখা নালাগুলোয় পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে জেলেদের নৌকা। শাখা নদগুলোতে নেই পানি, বিপাকে জেলে ও নৌ-শ্রমিকরা। তিস্তার চরে এখন নানান ফসলের আবাদ। হরিপুর চরের নৌ-শ্রমিক ছাত্তার মিয়ার ভাষ্য, আজ থেকে ১১ বছর আগে তার পাঁচটি নৌকা ছিল। নৌকার ব্যবসা দিয়ে সে সংসার চালাত। বালুচরে পড়ে থেকে তার চারটি নৌকা নষ্ট হয়ে গেছে। এখন তার মাত্র একটি নৌকা। সেটিও বছরের ৩ মাস মূল নদীতে চলাচল করে। উজানের পলি জমে নদী ভরে উঠায় এখন আর নৌকা চলে না। সে কারণে মাঝি মাল্লারা অন্য পেশায় জড়িয়ে পড়ছে। নদী খনন বা ড্রেজিং করলে হয়তো তিস্তা তার গতিপথ ফিরে পাবে। বর্তমান বাজারে একটি নতুন নৌকা তৈরি করতে প্রায় ২ লাখ টাকা লাগবে। সেটি চরের জেলেদের পক্ষে এখন অসম্ভব। উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জয়ন্ত দাসের ভাষ্য, উজানের ঢলে ভরে উঠেছে তিস্তা নদী। নদীতে এখন আর জল থাকে না। নদীতে নৌকা দিয়ে মাছ ধরার আর কোনো সুযোগ নেই। এক যুগ ধরে জেলেরা তিস্তা নদীতে মাছ ধরতে পারে না। সে কারণে অনেকে রিকশা, ভ্যান চালিয়ে সংসার চালাচ্ছে। বালুচরে পড়ে থেকে দিনের পর দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে জেলেদের নৌকাগুলো। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার তারাপুর, বেলকা, হরিপুর, শান্তিরাম, কঞ্চিবাড়ি, চন্ডিপুর, শ্রীপুর ও কাপাসিয়া ইউনিয়নের উপর দিয়ে প্রবাহিত তিস্তা নদী। তিস্তা তার গতিপথ পরিবর্তন করে অসংখ্য শাখা নদে রূপ নিয়েছে। বছরে মাত্র ৬ মাস মূল নদীতে নৌকা চলাচল করে। গোটা বছর পায়ে হেঁটে পারাপার করতে হয় চরবাসীকে। এক সময় উপজেলার পাঁচপীর, বেলকা, মীরগঞ্জ ও তারাপুর খেয়োঘাট হতে পীরগাছা, কাউনিয়া, উলিপুর, কুড়িগ্রাম, কাশিমবাজার, চিলমারি, রৌমারি, মোল্লার চর, ভূরুঙ্গামারি, দেওয়ানগঞ্জ, কামারজানি, গাইবান্ধা, সাঘাটা, ফুলছড়ি, জামালপুর, নারায়ণগঞ্জ, বালাশিঘাট, ঢাকা, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ রুটে নৌ-চলাচল করত বলেন হরিপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মো. মোজাহারুল ইসলাম। তার ভাষ্য পানি না থাকায় সবরুটে নৌ-চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। তিস্তায় হাজারও নৌ-শ্রমিক ও জেলে সম্প্রদায় নৌকা চালিয়ে এবং মাছ ধরে সংসার চালাত। সেই সব জেলে ও নৌ-শ্রমিকরা এখন বেকার হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে। অনেকে বাপ-দাদার পেশা পরিবর্তন করে অন্য পেশা জড়িয়ে পড়েছে। সেই সাথে বালুচরে পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে নৌকা। বাদামের চরের ব্যবসায়ী ফরমান আলীর ভাষ্য, জেলা ও উপজেলা শহর হতে কাপাসিয়া ইউনিয়নের বাদামের চরের দূরত্ব প্রায় ৩৫ কিলোমিটার। নৌ-চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় এখন বিভিন্ন যানবাহনে জেলা ও উপজেলা শহর হতে মালামাল নিয়ে এসে ব্যবসা করা অত্যন্ত কষ্টকর হয়ে পড়েছে। ঘোড়ার গাড়ি ও পায়ে হাঁটা ছাড়া অন্য কোনো উপায়ে চরের মধ্যে চলাচলের কোনো মাধ্যম নেই। আজ থেকে ১৫ বছর আগে নৌ-রুটে মালামাল আনা নেয়া করা হতো। নদী ভরে উঠায় জেলে ও মাঝি মাল্লাদের নৌকাগুলো এখন বালুচরে পড়ে নষ্ট হচ্ছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিবার্হী প্রকৌশলী মো. হাফিজুল হক দৈনিক জনতাকে জানান, নদী ড্রেজিং, খনন ও নদীর গতিপথ পরিবর্তন করা সরকারের উপর মহলের সিদ্ধানেন্তর ব্যাপার। তবে নদী ভাঙন রোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড কাজ করছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স
প্রতিবেদকের তথ্য

সর্বশেষ সংবাদ