ঢাকা , বুধবার, ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ১৯ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
কেরানীগঞ্জ-৩: পলকে থামানো মানে তৃণমূলকে থামানো এবার ভূতের চরিত্রে দেখা যাবে রাশমিকাকে পুরুষদের প্রতি যে অনুরোধ করলেন তামান্না আইনি জটিলতায় জড়ালেন সুহানা যদি অপরাধী হতাম তাহলে চুপচাপ থাকতাম: জয় ভক্ত অটোগ্রাফ চাওয়ায় আবেগাপ্লুত হয়ে পড়লেন ফারিয়া ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করাতে সিঙ্গাপুরে যাচ্ছেন অপু-শাকিব নিজের অভিনীত সিনেমা দেখে আবেগে কেঁদে দিলেন ‘দ্য রক’ জটিল রোগে ভুগছেন জাংকুক সরকারের ওপর চাপ বেড়েছে ঋণ পরিশোধের কোনো ব্লেম নিতে রাজি নই শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ করবো-সিইসি ফরিদপুরের সালথায় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যা: স্বামী আটক ছড়িয়ে পড়া গুজবে কান না দিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রতি সেনাপ্রধানের আহ্বান অন্তর্বর্তী সরকার কি পথ হারিয়েছে প্রশ্ন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত ডাকসু নির্বাচনে বাধা নেই তিন প্যানেলের ইশতেহার ঘোষণা সবারই প্রতিশ্রুতি নারীবান্ধব ক্যাম্পাস ডাকসু নিয়ে কোনো ধরনের টালবাহানা চলবে না : ছাত্রদল হলত্যাগের নির্দেশনা প্রত্যাখ্যান করে বাকৃবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ট্রাম্পের নেতৃত্বে মার্কিন প্রভাব: চ্যালেঞ্জ ও অনিশ্চয়তা ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৩২ হাজার ছাড়ালো

গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনা তদন্তের দাবি আসকের

  • আপলোড সময় : ১৮-০৭-২০২৫ ০৭:৫১:০৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৮-০৭-২০২৫ ০৭:৫১:০৮ অপরাহ্ন
গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনা তদন্তের দাবি আসকের
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজনৈতিক সমাবেশে হামলা, সংঘর্ষ এবং প্রাণহানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। সংগঠনটি বলেছে, এই ঘটনা গণতান্ত্রিক অধিকার, মানবাধিকার ও নাগরিক নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি। একইসঙ্গে আসক অবিলম্বে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার আসকের সিনিয়র সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবির সই করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জ পৌর পার্কে এনসিপির পূর্বঘোষিত সমাবেশে হঠাৎ করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশের হামলার পর শুরু হয় সংঘর্ষ, যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও যুক্ত হন। সংঘর্ষের সময় বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর হয়। পুলিশের প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে। এতে দীপ্ত সাহা (২৫), রমজান কাজী (১৮), সোহেল মোল্লা (৪১) ও ইমন (২৪) নিহত হন। আহত হন আরও অনেকে, যাদের অনেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আসক বলেছে, মতপ্রকাশ ও শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশ করার অধিকার সংবিধান স্বীকৃত একটি মৌলিক অধিকার; যা রাষ্ট্র ও প্রশাসনের দ্বারা সুরক্ষিত হওয়া উচিত। অথচ এখানে দেখা গেছে, প্রশাসন উত্তেজনা প্রশমন না করে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েছে; যা একাধিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তি ও দেশের সংবিধানের লঙ্ঘন। বিবৃতিতে বলা হয়, পুলিশের মহাপরিদর্শক গণমাধ্যমে দাবি করেছেন, ঘটনার সময় পুলিশ প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেনি। অথচ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার ও গুলির শব্দ স্পষ্ট। তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়, কারা এই অস্ত্র ব্যবহার করলো? আসক মনে করে, এই প্রশ্নের জবাব না দিলে জনমনে বিভ্রান্তি, ভয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনাস্থা বাড়বে। সংগঠনটি বলেছে, এই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত না হলে ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে না। বিবৃতিতে দাবি করা হয়, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে এবং ঘটনার পেছনে কারা দায়ী তা চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিবৃতির শেষাংশে আসক দেশব্যাপী শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় সব পক্ষকে সংযম, ধৈর্য ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানায়। তারা বিশেষভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে এবং কোনও নিরীহ নাগরিক যেন হয়রানি বা সহিংসতার শিকার না হন, তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানায়।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স