ঢাকা , শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫ , ৪ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ , ই-পেপার
সংবাদ শিরোনাম
শিক্ষক সঙ্কটে প্রাথমিক শিক্ষার বেহাল দশা আড়ালে শক্তির জানান দিতে চায় জামায়াত নির্বাচন নিয়ে সংশয় উৎকণ্ঠায় বিএনপি পিআর পদ্ধতি খায় না মাথায় দেয়-প্রশ্ন সালাহউদ্দিনের ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১১৪ গুলিতে নিহতদের ময়নাতদন্ত কেন হয়নি হামলার ঘটনায় গোয়েন্দা ব্যর্থতা ছিল-সাবেক আইজিপি গোপালগঞ্জে গ্রেফতার আতঙ্ক ক্ষতির মুখে ব্যবসায়ীরা মাদ্রাসার মোহতামিমকে অবরুদ্ধ করে কমিটিতে বিএনপি নেতার স্বাক্ষর কুষ্টিয়ায় ‘চাঁদা না পেয়ে’ হামলার অভিযোগ জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে গাজীপুরে কাভার্ড ভ্যানচাপায় অটোরিকশার ৪ যাত্রী নিহত সুনামগঞ্জে পানিতে ডুবে মা-মেয়ের মৃত্যু সৌদিতে সড়ক দুর্ঘটনায় বাংলাদেশি নিহত র‌্যাবের পোশাকে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে গ্রেফতার ৫ জন কারাগারে যান্ত্রিক ত্রুটির কবলে পড়া বিমান দুবাই থেকে ফিরল ৩০ ঘণ্টা বিলম্বে সাঁতার জানতেন ইবি শিক্ষার্থী সাজিদ, পুকুরে ডুবে মৃত্যু রহস্যজনক চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতিতে উদ্বেগ বিএনপির ইন্টারনেট শাটডাউন রোধে আসছে আইন : ফয়েজ আহমদ তিন লাখ মানুষের জন্য তিনজন চিকিৎসক গোপালগঞ্জে হামলাকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না-স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনা তদন্তের দাবি আসকের

  • আপলোড সময় : ১৮-০৭-২০২৫ ০৭:৫১:০৮ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৮-০৭-২০২৫ ০৭:৫১:০৮ অপরাহ্ন
গোপালগঞ্জে সংঘর্ষে প্রাণহানির ঘটনা তদন্তের দাবি আসকের
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) রাজনৈতিক সমাবেশে হামলা, সংঘর্ষ এবং প্রাণহানির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)। সংগঠনটি বলেছে, এই ঘটনা গণতান্ত্রিক অধিকার, মানবাধিকার ও নাগরিক নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি। একইসঙ্গে আসক অবিলম্বে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার আসকের সিনিয়র সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবির সই করা এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জ পৌর পার্কে এনসিপির পূর্বঘোষিত সমাবেশে হঠাৎ করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের একটি অংশের হামলার পর শুরু হয় সংঘর্ষ, যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও যুক্ত হন। সংঘর্ষের সময় বিভিন্ন স্থানে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর হয়। পুলিশের প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগও উঠেছে। এতে দীপ্ত সাহা (২৫), রমজান কাজী (১৮), সোহেল মোল্লা (৪১) ও ইমন (২৪) নিহত হন। আহত হন আরও অনেকে, যাদের অনেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আসক বলেছে, মতপ্রকাশ ও শান্তিপূর্ণভাবে সভা-সমাবেশ করার অধিকার সংবিধান স্বীকৃত একটি মৌলিক অধিকার; যা রাষ্ট্র ও প্রশাসনের দ্বারা সুরক্ষিত হওয়া উচিত। অথচ এখানে দেখা গেছে, প্রশাসন উত্তেজনা প্রশমন না করে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও প্রকাশ্যে গুলি চালিয়েছে; যা একাধিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তি ও দেশের সংবিধানের লঙ্ঘন। বিবৃতিতে বলা হয়, পুলিশের মহাপরিদর্শক গণমাধ্যমে দাবি করেছেন, ঘটনার সময় পুলিশ প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করেনি। অথচ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার ও গুলির শব্দ স্পষ্ট। তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়, কারা এই অস্ত্র ব্যবহার করলো? আসক মনে করে, এই প্রশ্নের জবাব না দিলে জনমনে বিভ্রান্তি, ভয় ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি অনাস্থা বাড়বে। সংগঠনটি বলেছে, এই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্ত না হলে ন্যায়বিচার পাওয়া যাবে না। বিবৃতিতে দাবি করা হয়, নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, আহতদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে এবং ঘটনার পেছনে কারা দায়ী তা চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। বিবৃতির শেষাংশে আসক দেশব্যাপী শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় সব পক্ষকে সংযম, ধৈর্য ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানায়। তারা বিশেষভাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে এবং কোনও নিরীহ নাগরিক যেন হয়রানি বা সহিংসতার শিকার না হন, তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানায়।
 

নিউজটি আপডেট করেছেন : Dainik Janata

কমেন্ট বক্স